Anindya’s Single Click Dictionary with Bengali Meaning

ইংরেজী শব্দের অর্থ শেখার সবচেয়ে ভাল উপায় নিয়মিতভাবে প্রচুর ইংরেজী আর্টিকেল পড়া এবং যখনি অজানা শব্দের সম্মুখীন হতে হয় তখনি তার অর্থ দেখে রাখা। আর যারা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বাংলা মাধ্যমে পড়েছেন তাদের জন্য শব্দটির অর্থ সহজে হৃদয়ঙ্গম করতে এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে মনে রাখতে হলে শব্দটির বাংলা অর্থ জানা অত্যাবশ্যক। ডিকশনারী হতে শব্দার্থ খুঁজে বের করার কাজটিকে সহজ করতে হলে প্রয়োজন সফটওয়্যার। ইতোমধ্যেই বাংলা একাডেমীর English to Bengali ডিকশনারীর স্ক্যানড ইমেজ ব্যবহার করে ডিকশনারী সফটওয়্যার তৈরী হয়েছে। এই সফটওয়্যার যে শব্দার্থ দেখার কাজটি ব্যাপকভাবে সহজ করে দিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু,এর একটি সীমাবদ্ধতা হল এতে যে শব্দটির অর্থ জানতে চাওয়া হচ্ছে তা টাইপ করতে হয়এই টাইপিং এর ঝামেলার কারণে অনেক সময় আর্টিকেল পড়ার আনন্দটিই ম্লান হয়ে যায়। মূলত এই সমস্যা দূর করতেই Anindya’s Dictionary সফটওয়্যারটি তৈরী করা হয়েছে

ফিচারসমূহ

১. এই ডিকশনারীটির মূল উদ্দেশ্য হল ইউজারকে ন্যূনতম পরিশ্রমে কোনো শব্দের অর্থ জানতে সাহায্য করা। Ctrl, Alt বা Shift যেকোন একটি মডিফায়ার কী প্রেস করে রেখে কম্পিউটারের স্ক্রীনে কোন ইংরেজী শব্দের উপর রাইট ক্লিক করলেই ডিকশনারীর উইন্ডো ভেসে উঠবে এবং শব্দটির অর্থ প্রদর্শন করবে। তবে ইউজার চাইলে টাইপ করেও শব্দের অর্থ সার্চ করতে পারবেন।

২. এই ডিকশনারীটিতে তিনটি ট্যাব আছে। প্রথমটি বাংলা একাডেমী কর্তৃক প্রকাশিত English to Bengali ডিকশনারীতে প্রদত্ত বাংলা অর্থ প্রদর্শন করে। দ্বিতীয়টি যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের WordNet 3.0 লেক্সিক্যাল ড্যাটাবেস ব্যবহার করে ইংরেজী অর্থ প্রদর্শন করে। তৃতীয় ট্যাবটি thefreedictionary.com অনলাইন ডিকশনারীর ওয়েবসাইট থেকে শব্দটির অর্থ প্রদর্শন করে।

thefreedictionary.com খুবই সমৃদ্ধ একটি ডিকশনারী ওয়েবসাইটএতে একাধিক নামকরা ডিকশনারী থেকে শব্দের অর্থ ও ব্যবহার প্রদর্শনের পাশাপাশি শব্দটির উচ্চারণের অডিও ক্লিপ, ভাব-আভিধানিক অর্থ (thesaurus), প্রতিশব্দ (synonym), বিপরীত শব্দ (antonym), প্রায় সমার্থক শব্দ এবং প্রযোজ্য হলে ক্লিপআর্ট (চিত্র) দেওয়া আছেএই ডিকশনারী ওয়েবসাইটটি লোড হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যান্ডউইথ রিকুয়্যারমেন্টও কম। তাই মাঝারি গতির ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই স্বল্প সময়ের মধ্যে ডিকশনারীটি অর্থ প্রদর্শন করতে পারে। সফটওয়্যারটিতে অন্যান্য অনলাইন ডিকশনারীও যুক্ত করা যেত কিন্তু ব্যান্ডউইথ রিকুয়্যারমেন্ট ও পেইজ রেন্ডারিং টাইম বেশী হওয়ায় সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

৩. ইউজার ইচ্ছা করলে ডিকশনারীটিকে উইন্ডোজ স্টার্টআপে রান করতে পারবেন। অর্থাৎ, উইন্ডোজ স্টার্ট হওয়ার সাথে সাথে ডিকশনারীটিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে রান করবে এবং সিস্টেম ট্রে-তে থেকে সাইলেন্ট মোডে ইউজারের এ্যাক্টিভিটি মনিটর করতে থাকবে। যখনই ইউজার মডিফায়ার কী প্রেস করে কোনো শব্দের উপর রাইট ক্লিক করবেন তখনই ডিকশনারিটির উইন্ডো স্ক্রীনে ভেসে উঠবে এবং শব্দটির অর্থ প্রদর্শন করবে।

৪. ডিকশনারীটিতে Optical Character Recognition (OCR) সাপোর্ট রয়েছে। অর্থাৎ, কোনো ইংরেজী শব্দ যদি ছবি আকারেও থাকে তাহলেও ডিকশনারীটি শব্দটিকে অনুমান করার চেষ্টা করবে। স্ক্যান করা বই কিংবা ডকুমেন্টের ক্ষেত্রে OCR টেকনোলজি বিশেষভাবে সহায়ক।

৫. ডিকশনারীটিতে Barron’s GRE Wordlist এর একটি উইন্ডো অন্তর্ভুক্ত করা আছে। যারা Graduate Record Examination (GRE) এর জন্য প্রস্তুতি নিতে চান তাদের জন্য এই ওয়ার্ডলিস্টের শব্দগুলো জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ডিকশনারী সফটওয়্যারটির মাধ্যমে Barron’s GRE বইয়ে প্রদত্ত ৩৭৫৮টি শব্দের অর্থ ও ব্যবহার দেখা যাবে। এবং একই সাথে শব্দটি বাংলা একাডেমীর ডিকশনারীতে দেওয়া থাকলে তার বাংলা অর্থও দেখা যাবে।

৬. ডিকশনারীটি সম্পর্কে যেকোনো মতামত,পরামর্শ প্রদানের জন্য একটি ফিডব্যাক উইন্ডো রয়েছে।

গ্যালারীঃ

Fig. 1 বাংলা একাডেমী ডিকশনারী

Fig. 2 Princeton’s WordNet Lexical Database

Fig. 3 thefreedictionary.com meaning

Fig.4 thefreedictionary.com Synonym-Antonym

Fig. 5 Farlex clipart

Fig. 6 Barron’s GRE Wordlist

Fig. 7 Feedback Window

আমেরিকা কানাডায় ফ্রী কল

গত বছরও Gmail এর মাধ্যমে সারা বিশ্ব থেকে আমেরিকা/ কানাডায় যত খুশী ও যতক্ষণ খুশী ফ্রী কল করা যেত। কিন্তু, এখন Google তার পলিসি চেঞ্জ করায় কেবল আমেরিকা/ কানাডার গ্রাহকেরাই ফ্রী কলের এই সুবিধা ভোগ করে থাকেন। তবে proxy সার্ভিস ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই বিশ্বের যেকোন স্থান থেকে আপনিও এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। যারা কি করছি ও কেন করছি জানতে চান না তারা সরাসরি কাজের ধারা অংশটি পড়া শুরু করুন।

আপনি আমেরিকা/ কানাডাতে অবস্থান করছেন কিনা Gmail তা শনাক্ত করে আপনার IP অ্যাড্রেস দেখে। প্রত্যেক কম্পিউটারই প্রতিটা সেশনে একটা নির্দিষ্ট IP অ্যাড্রেসের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হয়। আপনার ISP (Internet Service Provider) আপনাকে উক্ত সেশনে যেই IP অ্যাসাইন করে দেবে সেটাই হবে আপনার প্রকৃত IP. এটিকে পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই। আর IP অ্যাড্রেস থেকে বোঝা যায় কম্পিউটারটি কোন দেশে অবস্থিত। আপনি নিজেও ইচ্ছা করলে আপনার IP অ্যাড্রেসটি যাচাই করে দেখতে পারেন http://whatismyipaddress.com/ লিংকটি থেকে।

Fig. 1

তাই Gmail এর ফ্রী কল সুবিধা ভোগ করার জন্য আপনাকে কোনোভাবে আপনার প্রকৃত IP কে masking (মুখোশ পড়ানো) করতে হবে। আর এজন্য প্রথমেই আপনার কম্পিউটারকে USA/ Canada তে অবস্থিত একটা proxy server এর সাথে কানেক্টেড হতে হবে। Proxy server আপানার কম্পিউটার ও ওয়েব সার্ভারের (ওয়েবসাইটের ধারক) মধ্যে ডাটা আদান প্রদানের মধ্যবর্তী মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে, অর্থাৎ আপনি সরাসরি ওয়েব সার্ভারের সাথে যুক্ত হবেন না (Fig. 1 দ্রষ্টব্য)। ফলে আপনি ইন্টারনেটে যে ওয়েবসাইট-ই ব্রাউজ করেন না কেন ওয়েব সার্ভার আপনার প্রকৃত IP শনাক্ত করতে পারবে না, শনাক্ত করবে proxy server এর IP অ্যাড্রেস। অর্থাৎ, আপনি আমেরিকা/ কানাডাতে অবস্থান না করলেও Gmail এর সার্ভার মনে করবে আপনি আমেরিকা/ কানাডাতে অবস্থান করছেন। ফলে আপনাকে Gmail এর ফ্রী কল সার্ভিস ব্যবহারের সুযোগ দেবে।

Proxy server এর মাধ্যমে ইন্টারনেটে যুক্ত হওয়ার ফ্রী সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে একটি জনপ্রিয় সফটওয়্যার হলো Hotspot Shield. নীচে Hotspot Shield এর মাধ্যমে Gmail থেকে কল করার প্রক্রিয়া দেওয়া হলো।

Fig. 2

কাজের ধারাঃ

১. ইতোমধ্যে না করে থাকলে এখান থেকে Google voice and video chat plug-in টি ডাউনলোড ও ইন্সটল করে নিন।

২. এই সাইট থেকে Hotspot Shield এর ফ্রী ভার্সন ডাউনলোড করুন। DM-XXX.exe নামের একটি ফাইল ডাউনলোড হবে। আসলে এটি Hotspot Shield এর setup প্রোগ্রাম নয়। এটি মূল setup প্রোগ্রামটির ডাউনলোডার।

৩. আপনার ওয়েব ব্রাউজার ক্লোজ করে নিন। ডাউনলোড করা ফাইলটি রান করুন। এটি মূল setup প্রোগ্রামটিকে ডাউনলোড করা শুরু করবে (Fig. 3 দ্রষ্টব্য)। ডাউনলোড সম্পন্ন হলে অটোম্যাটিকালি Hotspot Shield এর ইন্সটলেশন শুরু হবে।

৪. ইন্সটলেশন উইন্ডোতে Install Hotspot Shield toolbar চেকবক্সটি আনচেক করুন (Fig. 4 দ্রষ্টব্য) এবং Install বাটনে ক্লিক করুন। ইন্সটলেশন সম্পন্ন হলে Hotspot Shield প্রোগ্রামটি অটোম্যাটিকালি proxy server এর সাথে কানেক্টড হবে।

৫. এবার  http://whatismyipaddress.com/ সাইটে গিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার IP সফলভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। অর্থাৎ, Country সেকশনে Bangladesh দেখা যাচ্ছে না (United States দেখা যাওয়ার কথা)। এবার আপনার Gmail এ্যাকাউন্টে লগইন করুন। Gmail পেজটির একেবারে নীচে ডান দিকে Details নামে একটি লিংক দেখতে পাবেন। এখানে ক্লিক করলেই একটা উইন্ডো ওপেন হবে এবং সেখানে আপনি সাম্প্রতিক সময় কোন কোন IP থেকে লগইন করেছেন তার একটি চার্ট দেখতে পাবেন। চার্টের সবার উপরে আপনি বর্তমান সেশনে যেই IP থেকে লগইন করেছেন সেটি দেখতে পাবেন। এটি http://whatismyipaddress.com/ এ পূর্বে দেখা পরিবর্তিত IPর অনুরূপ হলে আপনি নিশ্চিত হবেন যে Gmail আপনার প্রকৃত IP শনাক্ত করতে পারেনি। অন্যথায়, ট্রাবলশুটিং-১ অনুসরণ করুন।

৬. এবার Gmail পেজটির বাম দিকে Call Phone বাটনটিতে ক্লিক করুন। একটা ডায়াল প্যাড ভেসে উঠবে (Fig. 2 দ্রষ্টব্য)। এবার আপনি যেই নম্বরে কল করতে চান সেটি টাইপ করে এন্টার চাপুন। কল শুরু হয়ে যাবে এবং ডায়াল প্যাডের Cost সেকশনে Free! লেখা উঠবে। যেহেতু, আমেরিকা ও কানাডা দুটো দেশেরই কলিং কোড 1 তাই আপনার কাঙ্ক্ষিত নম্বরটিও +1 দিয়ে শুরু হবে।

৭.  কথা বলা শেষ হলে Hotspot Shield এর Disconnect বাটনে ক্লিক করে proxy সার্ভিস বন্ধ করুন। এর ফলে আপনি আবার আপনার প্রকৃত IP’র মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হবেন। পরবর্তী প্রত্যেকবার proxy ব্যবহার করতে Hotshpot Shield এর Connect বাটনে ক্লিক করুন।

যতদিন Gmail USA/CANADA’য় ফ্রী কল সার্ভিস চালু রাখবে, কোনো প্রকার proxy dectection সিস্টেম চালু করবে না এবং Hotspot Shield কল করার উপযোগী ব্যান্ডউইডথ প্রদান করবে ততদিন এ পদ্ধতিতে ফ্রী কল করা যাবে।

সতর্কতাঃ

১. Hotspot Shield কানেক্ট করার পূর্বে ওয়েব ব্রাউজার ক্লোজ করতে হবে।

২. ভয়েস কলের মান কেমন হবে সেটা নির্ভর করে আপনার ইন্টারনেটের স্পীড ও proxy সার্ভিস এর মান এর উপর। Gmail থেকে কল করার জন্য আপনার আপলোড ও ডাউনলোড স্পীড উভয়ই নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ন্যূনতম ১৫ কিলোবাইট/সেকেন্ড এর বেশী থাকা উচিত। তবে যত বেশী থাকে ততই ভালো। অন্যদিকে Hotspot Shield কল করার উপযোগী ব্যান্ডউইডথ-ই প্রদান করে থাকে। তবে এ প্রক্রিয়ায় ব্যবসায়িক কিংবা অফিসিয়াল কল করা থেকে নিরুৎসাহিত করা হলো

৩. Hotspot Shield ব্যবহার করার সময় আপনার প্রতিটি নতুন ব্রাউজার ট্যাব/উইন্ডোর উপরের দিকে Ad দেখা যেতে পারে। Ad গুলো ক্ষতিকর নয় এবং সহজেই ক্লোজ করে বন্ধ করা যায়। কল করা শেষ হয়ে গেলে Hotspot Shield এর সার্ভিস Disconnect করে দিলে আর Ad দেখা যাবে না।

ট্রাবলশুটিং-১

http://whatismyipaddress.com/ আপনার প্রকৃত IP ধরতে না পারলেও Gmail তা শনাক্ত করে ফেলছে। অর্থাৎ, খুব সম্ভবত আপনি IP পরিবর্তনের পূর্বে আপনার ওয়েব ব্রাউজার ওপেন ছিল এবং আপনি Gmail অ্যাকাউন্টে লগইন করেছিলেন। এক্ষেত্রে Gmail থেকে লগ আউট করে ওয়েব ব্রাউজার ক্লোজ করুন। ওয়েব ব্রাউজার পুনরায় চালু করে Gmail এ লগইন করে আবার চেক করুন। এবার আর প্রকৃত IP দেখা যাওয়ার কথা না।

ট্রাবলশুটিং-২

Proxy সফটওয়্যার ব্যবহারের সময় এটি আপনার ব্রাউজারের Proxy settings পরিবর্তন করে দেবে। তাই, কোন কারণে কম্পিউটার বন্ধ করার আগে সফটওয়্যারটি ক্লোজ না করা হলে বা সার্ভিস ডিসকানেক্ট না করা হলে ব্রাউজারের Proxy settings পরিবর্তিত হয়েই থাকবে। কম্পিউটার হ্যাং করলে বা পাওয়ার সাপ্লাই বিচ্ছিন হলে এ ঘটনা ঘটা সম্ভব। ফলে পরে ব্রাউজার থেকে কোনো সাইট ভিজিট করা যাবে না। এরকম সমস্যা হলে Google এ সার্চ করে আপনার ব্রাউজারের proxy settings পরিবর্তন করুন। আর তা না পারলে Hotspot Shield কানেক্ট করে আবার ডিসকানেক্ট করুন। এতে সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।

Proxy service আর কি কি কাজে লাগতে পারে?

১. অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিস থেকে Facebook, YouTube ইত্যাদি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যায় না। জাতীয় পর্যায়েও অনেক সময় ওয়েবসাইট ব্যান করা হয়।  proxy service ব্যবহার করে এসব ওয়েবসাইট এ্যাকসেস করা যায়।

২.  অনেক ওয়েবসাইট কোনো দেশের সকল IP বা কোনো নির্দিষ্ট IP ব্লক করে। তাই, নিজের আইডেন্টিটি লুকিয়ে কোন ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে চাইলে proxy service ব্যবহার করতে হয়।

৩. কিছু proxy service যেমন Hotspot Shield আপনাকে HTTPs  কানেকশন সবিধা দেয়। এর ফলে ইন্টারনেটে আদান প্রদান করা তথ্যগুলো Encrypted থাকে। ফলে মাঝ পথে তথ্যগুলো অন্য কোনো ব্যক্তির হাতে পড়লেও সে আসল তথ্যটি উদ্ধার করতে পারবে না। যারা কখনো DV lottery এর জন্য অ্যাপ্লাই করেছেন তারা হয়তো HTTPs এর সিকিউরড কানেকশন ব্যবহারের অপশনটি দেখে থাকবেন। এছাড়া সফটওয়্যারটি যারা WiFi ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাদেরকেও snooping প্রক্রিয়ায় তথ্য চুরির হাত থেকে রক্ষা করে।

Proxy software গুলো কি আমার তথ্য চুরি করতে পারে?

তত্ত্বীয়ভাবে যতক্ষণ proxy software আপনার কম্পিউটারে রান করছে ততক্ষণ সে যা চাইবে তাই করতে পারে। একটা সফটওয়্যারের পক্ষে আপনি কম্পিউটারে কি করছেন, কি লিখছেন সবই ট্র্যাক করা সম্ভব। আর আপনার এ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার সেটিকে ধরতে নাও পারে। তাছাড়া আপনি কোনো ওয়েবসাইটে ব্যক্তিগত তথ্য (ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য) ইনপুট দিলে যেহেতু সেগুলো proxy server এর মধ্যদিয়ে ওয়েব সার্ভারে যাবে সেহেতু  proxy service provider দের পক্ষে সেগুলো সংগ্রহ করে রাখা সম্ভব। তবে আশা করা যায় জনপ্রিয় কোন proxy service এরূপ কোনো কাজ করবে না।

জনপ্রিয় দুটি টেকনোলজি সাইটে Hotspot Shield এর রিভিউ-

Hotspot Shield ইন্সটলেশনঃ

Fig. 3

Fig. 4

টাইম ম্যাগাজিনের “10 Questions for Stephen Hawking”

লেখাটি  ২০১০ সালের ১৬ই নভেম্বরটেকটিউনস ব্লগে লিখেছিলাম। লিংকঃ http://www.techtunes.com.bd/reports/tune-id/3985

১৫ নভেম্বর, ২০১০ টাইম ম্যাগাজিনে 10 Questions for Stephen Hawking শিরোনামে পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং এর কাছে উত্থাপিত নির্বাচিত দশটি প্রশ্নের উত্তর তুলে ধরা হয়। এ নিয়ে পূর্বেই  সামহয়্যারইনব্লগে জনৈক ব্লগার কর্তৃক একটি পোস্ট প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু, তার সাথে অনুবাদগত কিছু মতপার্থক্য থাকায় টেকটিউনসের পাঠকদের জন্য নতুন করে অনুবাদ করার প্রচেষ্টা চালানো হলো।

যদি ঈশ্বর নাই থাকেন তাহলে প্রায় সমগ্র বিশ্বজুড়ে তার অস্তিত্বকে মেনে নেওয়া হয় কেন?Basanta Borah, BASEL, SWITZERLAND

আমি কখনই দাবি করি না যে ঈশ্বর নেই। ঈশ্বর হচ্ছেন তিনিই যার কারণে আমরা পৃথিবীতে আছি বলে মানুষ মনে করে। কিন্তু আমি মনে করি আমাদের সৃষ্টির কারণ এমন কেউ নন যার সাথে কারো ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে, বরং এটা হল পদার্থবিদ্যার নীতি তথা একটি সত্ত্বাহীন ঈশ্বর (impersonal God) যা সবকিছু সৃষ্টির কারণ।

মহাবিশ্ব কি কখনো ধ্বংস হয়ে যাবে? যদি হয় তবে এর পর কী হবে?Paul Pearson, HULL, ENGLAND

পর্যবেক্ষণ আমাদের এটাই বলে যে মহাবিশ্ব ক্রমবর্ধমান গতিতে প্রসারিত হচ্ছে। এটা অনন্তকাল প্রসারিত হবে, অভ্যন্তরের শূণ্যতা বৃদ্ধি পাবে এবং ক্রমশ জ্যোতিহীন হয়ে পড়বে। যদিও মহাবিশ্বের কোন ধ্বংস নেই, এর একটা সৃষ্টি ছিল এবং তা হয়েছিল বিগ্‌ ব্যাঙ এর মাধ্যমে। অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে বিগ্‌ ব্যাঙ এর আগে কী ছিল? কিন্তু উত্তরটি হল এর আগে কিছুই ছিল না, ঠিক যেমন দক্ষিণ মেরুর দক্ষিণে কিছু নেই।

মহাবিশ্বের গভীরে স্থানান্তরিত হওয়ার সময় পর্যন্ত কি মানব সভ্যতা টিকে থাকবে?Harvey Bethea, STONE MOUNTAIN, GA.

আমি মনে করি সৌরজগতের অন্যান্য স্থানে উপনিবেশ গড়া পর্যন্ত মানব সভ্যতা টিকে থাকবে। কিন্তু, সৌরজগতে পৃথিবীর চেয়ে বাসোপযোগী আর কোন জায়গা নেই, তাই পৃথিবী বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়লে আমরা টিকে থাকব কিনা তা পরিষ্কার নয়। আমাদের দীর্ঘকাল টিকে থাকতে হলে সৌরজগতের বাইরে অন্যান্য নক্ষত্র এর নিকট পৌঁছতে হবে। কিন্তু, সে জন্য আরও অনেকদিন অপেক্ষা করতে হবে। চলুন আশা করি আমরা যেন ততদিন টিকে থাকতে পারি।

আপনি যদি আলবার্ট আইনস্টাইনের সাথে কথা বলতে পারতেন, তাহলে কী জিজ্ঞেস করতেন?Ju Huang, STAMFORD, CONN.

আমি তাকে জিজ্ঞেস করতাম তিনি কেন কৃষ্ণ গহ্বর বিশ্বাস করতেন না। তাঁর আপেক্ষিক তত্ত্বের ক্ষেত্র সমীকরণ গুলো নিরীক্ষণ করলে দেখা যায় যে একটা বিশাল নক্ষত্র বা গ্যাসীয় মেঘ নিজের ভিতর পুঞ্জীভূত হয়ে কৃষ্ণ গহ্বরে পরিণত হয়। আইনস্টাইন এটা জানতেন কিন্তু তিনি নিজেকে কোনভাবে বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন যে কৃষ্ণ গহ্বরে পরিণত হওয়ার আগেই একটা বিস্ফোরণ অবশ্যই ঘটবে যা পুঞ্জীভূত বস্তু সমূহকে চারদিকে প্রক্ষিপ্ত করবে। আমি জিজ্ঞেস করতাম এই বিস্ফোরণ না ঘটলে কি হতো?

আপনার জীবদ্দশায় আপনি কোন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার বা উৎকর্ষ দেখে যেতে চান?Luca Zanzi, ALLSTON, MASS.

আমি নিউক্লিয়ার ফিউশনকে শক্তির বাস্তব উৎস হিসেবে দেখতে চাই। এটা আমাদেরকে দূষণ ও উষ্ণায়ন ছাড়াই অপরিসীম শক্তির যোগান দেবে।

মৃত্যুর পর আমাদের চৈতন্যের (consciousness) কি হয় বলে আপনি বিশ্বাস করেন?Elliot Giberson, SEATTLE

আমি মনে করি আমাদের মস্তিষ্ক হল একটা কম্পিউটার আর চৈতন্য হল একটা কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা কম্পিউটার বন্ধ হওয়ার সাথে সাথেই শেষ হয়ে যায়। তাত্ত্বিকভাবে, এটাকে একটা স্নায়ুজালের (neural network) মাঝে পুনরায় চালু করা যেতে পারে, কিন্তু তা হবে অত্যন্ত কষ্টকর কারণ সেজন্য একজনের সমগ্র স্মৃতি সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

একজন  অসাধারণ পদার্থবিদ হলেও আপনার কি কোন সাধারণ অভ্যাস আছে যা মানুষকে বিস্মিত করবে?Carol Gilmore, JEFFERSON CITY, MO.

আমি সব ধরণের গান পছন্দ করি, যেমন পপ, ক্লাসিক্যাল আর অপেরা। আমি আমার ছেলে টিম এর সাথে ফর্মুলা ওয়ান রেসিং-ও উপভোগ করি।

আপনি কি মনে করেন আপনার শারীরিক সীমাবদ্ধতা আপনার গবেষণায় সাহায্য বা ক্ষতি করেছে?Marianne Vikkula, ESPOO, FINLAND

যদিও আমার বেশ দুর্ভাগ্য যে আমার দেহ মটর নিউরন রোগে আক্রান্ত তারপরেও আমি অন্যান্য প্রায় সবকিছুতে খুব ভাগ্যবান। আমার সৌভাগ্য যে আমি তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করি আর কিছু বই লিখি  যেখানে শারীরিক অক্ষমতা খুব বড় প্রতিবন্ধকতা নয়।

জীবনের রহস্য সম্পর্কে সবকিছুর উত্তর আপনার কাছে পাওয়া যাবে, মানুষের এমন প্রত্যাশা কি আপনার কাছে একটা বিশাল দায়বদ্ধতার উপলব্ধি ঘটায়?Susan Leslie, BOSTON

আমি অবশ্যই জীবনের সব রহস্যের উত্তর জানিনা। পদার্থবিজ্ঞান আর গণিত হয়তো আমাদের বলতে পারে মহাবিশ্ব কিভাবে সৃষ্টি হয়েছিল, কিন্তু মানুষের মনকে অনুমান করার ক্ষেত্রে তারা খুব একটা কার্যকর নয়, কারণ এখনো অনেক সমীকরণের সমাধান বের করা বাকি। আর কি দ্বারা মানুষ বিশেষত মহিলাদের মন চালিত হয় তা বোঝার ক্ষমতা আমার অন্যদের চেয়ে মোটেই বেশী নয়।

আপনি কি মনে করেন এমন একদিন আসবে যখন মানুষ পদার্থবিজ্ঞানের সবকিছুই বুঝে ফেলবে?Karsten Kurze, BAD HONNEF, GERMANY

আশা করি তা যেন না হয়। তাহলে আমার করার মত কিছুই থাকবে না।

(উপরিউক্ত বিষয়বস্তু  আমার নিজস্ব মতামত নয়, লেখাটিতে কেবল অনুবাদের যথার্থতা বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে)

Hello world!

Welcome to WordPress.com. After you read this, you should delete and write your own post, with a new title above. Or hit Add New on the left (of the admin dashboard) to start a fresh post.

Here are some suggestions for your first post.

  1. You can find new ideas for what to blog about by reading the Daily Post.
  2. Add PressThis to your browser. It creates a new blog post for you about any interesting  page you read on the web.
  3. Make some changes to this page, and then hit preview on the right. You can always preview any post or edit it before you share it to the world.